Sheikh Mujibur Rahman; The father of a Nation
শেখ মুজিবুর রহমান; একজন জাতির পিতা
আজকে এমন একজন মানুষের জন্মদিন যাকে নিয়ে কিছু লেখার মতন যোগ্যতা হয়তো আমার কলমের নেই। এমন একজন মানুষ, যার জন্ম নাহলে হয়তো এই সুন্দর শুফলা বাংলাদেশের জন্ম কখনো হতোনা। যাকে ভালোবেশে বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু বলে ডেকে থাকে ।যাকে জাতীর পিতা বলে সম্বোধন করা হয়ে থাকে। হয়তো এই কয়েকটা উপমা দিয়ে এতো বড় মাপের একজন মানুষ কে সম্বোধন করাটাও কম হয়ে যাবে। বাংলাদেশের মাঝে অনেক রাজনৈতিক দল থাকতে পারে কিন্তু সব মানুষ একটা যায়গায় এসে মিলে যায় আর সেটার কারন হলো এই বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার আগ পর্যন্ত এবং জয়লাভ করার পর একটা সুন্দর দেশ হিসেবে পরিচালনা করতে হয় তা এই বঙ্গবন্ধুই মানুষ কে শিখিয়েছে। সাধারন মানুষের প্রত্যেকটা অধিকার কিভাবে আন্দোলনের মাধ্যেমে আদায় করতে হয় তা এই ব্যাক্তিই বাংলাদেশের মানুষ কে শিখিয়েছে। বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার আগ পর্যন্ত যত গুলো আন্দোলন হয়েছে তার সবগুলো আন্দোলনেই সাধারন মানুষের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্য দিয়িছেন। এইসব আন্দোলনের জন্যে তাকে সইতে হয়েছে জালিম পাকিস্তান সরকারে বিনা অপরাধে নিষ্ঠুর নির্যাতন। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম রাজনৈতিক দলের পারিচালক ছিলেন এই বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ যখন পাকিস্থানের অধিনস্থ
বাংলাদেশ যখন পাকিস্থানের অধিনস্থ পূর্ব পাকিস্থান ছিল। তখন পশ্চিম পাকিস্থান সরকার সাধারন মানুষের বিভিন্ন নির্যাতন করতো। পূর্ব পাকিস্থান যেটা এখন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের উপর নানাভিত নির্যাতন করতো ততকালিন পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার। বাংলাদেশের মানুষদের কে পশ্চিম পাকিস্থানের কোন মানুষের চোখেই দেখতো না। রেসিজম অনেকাংশ বেরে গিয়েছিলো ঐ সময়। বাংলেদশের সাধারন মানুষের অধিকার গুলো নিশ্চিত করার বঙ্গবন্ধু রাজপথে আন্দোলনে নামেন কিন্তু পশ্চিম পাকিস্থানের জালিম সরকার তার লালিত নিষ্ঠুর তম পুলিষ বাহিনি দিয়ে সাধারন মানুষের উপর গুলি বর্ষন করেন। বঙ্গবন্ধুর হওয়ার কথা ছিল পরবর্তি প্রধানমন্ত্রি । তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সাধারন মানুষের মাঝে সরকার প্রতিষ্ঠা করার কথা ছিল কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের জালিম শাসক তা কখনোই মেনে নেই নি।
বঙ্গবন্ধু খেতাব
১৯৬৭ সালের ১৭ মার্চ
শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারের
রোজনামচায় লিখেছিলেন, ‘আজ আমার ৪৭তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনে ১৯২০ সালে পূর্ব বাংলার এক ছোট্ট পল্লীতে
জন্মগ্রহণ করি। আমার জন্মবার্ষিকী আমি কোনোদিন নিজে পালন
করি নাই—বেশি হলে আমার স্ত্রী এই দিনটাতে আমাকে ছোট্ট একটা উপহার দিয়ে থাকত। এই দিনটিতে
আমি চেষ্টা করতাম বাড়িতে থাকতে। খবরের কাগজে দেখলাম ঢাকা সিটি আওয়ামী লীগ আমার জন্মবার্ষিকী
পালন করছে। বোধ হয়, আমি জেলে
বন্দি আছি বলেই। আমি একজন মানুষ, আর আমার
আবার জন্মদিবস! দেখে হাসলাম।’
ওই জন্মদিনে সহবন্দীরা
তাঁকে ফুল দিয়েছিলেন, কারাগারে
কেক নিয়ে এসেছিলেন বেগম মুজিব আর তাঁদের ছেলেমেয়েরা। ছোট্ট রাসেল তাঁর বাবাকে ফুলের
মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন। ঢাকায় আর চট্টগ্রামে শেখ মুজিবের জন্মদিন উদ্যাপিতও হয়েছিল।
সে ছিল ঘোরতর দুঃসময়।
একের পর এক মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কারণ তিনি ঘোষণা করেছিলেন বাঙালির মুক্তির
সনদ ছয় দফা। পরে তো তাঁকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ক্যান্টনমেন্টে।
১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলার মানুষ তাঁকে মুক্ত করে আনবে, আর তাঁকে উপাধি দেবে বঙ্গবন্ধু খেতাব।
৭ই মার্চ এর রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু ভাষন
৭ই মার্চ এর রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু ভাষন দেন " রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো কিন্তু এদেশের মানুষকে স্বাধিন করেই ছারবো ইনশাআল্লাহ" । যাকে বিশ্বের কয়েকটা ঐতিহাসিক ভাষনের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। আর এই ভাষন টিকে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের টনিক।
সবশেসে বলবো আজকের এই ৯৯ তম জন্মদিন ই নয় সুধু সব সময় বাংলাদেশের মানুষের মনে তিনি আজীবন বিস্তার করবে।
No comments